- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

পুরনো কালুরঘাট সেতু দিয়েই ট্রেন যাবে কক্সবাজার

নিউজ ডেক্স : আলোচিত কালুরঘাট বিদ্যমান সেতুর উপর দিয়েই আগামী বছর চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই এক বছরের মধ্যে রেল কাম সড়ক সেতুর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ফান্ডের বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট বিদ্যমান সেতুটি আবার মেরামত করা হবে।

গত ১৪ জানুয়ারি কক্সবাজারে আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঘোষণা দেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে ট্রেন ভ্রমণ করা যাবে। সেই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৫৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে কালুরঘাট সেতু গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সেতুর উচ্চতা নিয়ে রেলওয়ে এবং বিআইডব্লিউটিএর নানা তর্ক-বিতর্কের পর শেষ পর্যন্ত ১২ মিটার উচ্চতায় করার সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী। এখন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। আগে সেতুর প্রকল্প ব্যয় ছিল দেড় হাজার কোটি টাকা। উচ্চতা ১২ মিটার হওয়ায় এখন প্রকল্প ব্যয় দাঁড়াবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকায়। আগে দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়ার কথা ছিল ১ হাজার কোটি টাকা। এখনকার প্রকল্প ব্যয় নিয়ে কোরিয়ার সাথে আলোচনা চলছে। তবে কোরিয়া যা-ই দিক, অবশিষ্ট টাকা সরকার দেবে বলে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী আজাদীকে জানিয়েছেন।

বর্তমান সেতুটি ভালোভাবে মেরামত করা হলে অনেক মজবুত হবে এবং মিটারগেজ ট্রেন চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারী ৪৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন আগামী বছর চালু হবে। আগামী বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। তাই পুরনো কালুরঘাট সেতু দিয়েই প্রথমে চলবে। প্রথমে মিটারগেজ দিয়ে চলবে, তাই তেমন অসুবিধা হবে না।

তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতু দক্ষিণ কোরিয়ার ফান্ডে হবে। এখন সেতুর উচ্চতা বেড়েছে। এতে নির্মাণ ব্যয় থেকে শুরু করে অনেক কিছু বেড়ে যাবে। নতুন করে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে। এই ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা চলছে। দৈনিক আজাদী