কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পাচারকালে নারী দালালসহ ২ রোহিঙ্গা যুবতীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। আটক দালাল নারীর নাম মিনু আরা আক্তার সে কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্প হাঙ্গরপাড়া বাসিন্দা আলী আহমদের মেয়ে। ২ রোহিঙ্গা যুবতীর একজনের নাম ফারেসা আক্তার। অপরজন দিলসান বেগম। তারা উভয় সহোদরা এবং কুতুপালং ক্যাম্পের এ-৩ ব্লকের বাসিন্দা নুরুল আলমের মেয়ে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। দালালের সহায়তায় পাচারকারকালে বুধবার (৭ ফ্রেরুয়ারী) দুপুরে উখিয়া সোনারপাড়া বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। এই সময় থাকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে আটক ২ রোহিঙ্গা যুবতীকে তার বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। তবে আটক হওয়া ২ রোহিঙ্গা যুবতী জানায়, বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তারা জানেনা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিনু আরা আক্তার চিহ্নিত একজন রোহিঙ্গা পাচারকারী। সে প্রায় সময় ফুসলিয়ে ফাঁদে ফেলে রোহিঙ্গা যুবতীদেরকে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে। পতিতাবৃত্তির মতো ঘৃণিত কাজে ঠেলে দেয় রোহিঙ্গা যুবতীদের। বিভিন্ন অংকের টাকার চুক্তিতে বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী হিসাবেও পৌঁছিয়ে দেয়ার কাজ করে পাচারকারী নারী মিনু আরা আক্তার। স্থানীয় উখিয়ার সোনারপাড়া পুলিশ চেকপোস্টের ইনসার্চ ইনন্সপেক্টর মহিউদ্দিন জানান, স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় নারী পাচারকারীসহ ২ রোহিঙ্গা যুবতীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যাচায় বাছাই করে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের এপ্রতিবেদককে জানান, একজন দালালসহ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পাচার কাজে আরো কারা জড়িত আছে তা অনুসন্ধান করা হবে।