- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

পল্লী ভবনে বড় ধরণের ফাটল : প্রাণহানির আশংকা

Ukhiya-BRBD-Office
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : কক্সবাজারের উখিয়া পল্লী উন্নয়ন ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বড় ধরণের ফাটল ধরা ঝুকিপূর্ণ এই পুরোনো ভবন ধ্বসে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের প্রাণহানির আশংকা করছেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যদিও জরাজীর্ণ অবস্থায় উপজেলার সম্মুখে অফিসটির নিজস্ব অবস্থান। সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ভবনটির বেহাল দশা যেন কারো নজরে পড়ছে না। প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকায় দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে এই দপ্তরটি। ৩জনের স্থলে মাত্র ১জন কর্মকর্তার মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে অফিসটির কার্যক্রম।
জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৮৬ সালে। নামকরণ করা হয় উখিয়া পল্লী ভবন। উপজেলা পরিষদ থেকে ৫০শতক জায়গা বরাদ্ধ দেন সরকার। এই জায়গার উপর ভবনটি হয়ে কার্যক্রম চলে আসছে। সরকার আসে, সরকার যায় অথচ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের কোন ধরণের অবকাঠামো উন্নয়ন তথা সংস্কার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় উখিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের নির্বাহী প্রধান হিসেবে কর্মরত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ খোরশেদুল আলমের সাথে। তিনি জানান, বড় ধরণের ফাটল ধরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে একাধিক বার উর্ধ্বতন দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যবধি কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। অথচ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির অধীনে ২৫০০ জনের অধিক নারী-পুরুষ সদস্যের ৬৬টি সমিতি চলমান রয়েছে। তৎমধ্যে ৪৭টি কৃষক সমিতি, ১৩টি ভিত্তিহীন সমবায় সমিতি ও ৬টি মহিলা ভিত্তিহীন সমবায় সমিতি।
মো: খোরশেদুল আলম জানান, উপজেলা ইউসিসিএ লিমিটেডের আওতায় যে সব প্রকল্প চলমান রয়েছে অস্বচ্ছ মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্প, সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী (সদাপি), আর্থিক ঘূর্ণায়মান পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, পল্লী প্রগতি প্রকল্প, পদাবিক পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী (বর্তমানে বন্ধ রয়েছে)।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় সমবায় প্রতিষ্ঠান জাগরণের সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া বলেন, সরকারের জনবান্ধব পল্লী উন্নয়ন অফিসের কার্যক্রম আরো গতিশীল করা দরকার। তাই সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্তা-ব্যক্তিদের আন্তরিক ভুমিকা অপরিহার্য।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভবনটি অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যা সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরী। এ বিষয়ে বিআরডিবি কর্মকর্তা আমার সাথেও যোগাযোগ করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রতি বৎসর উপজেলা পরিষদ থেকে চাইলে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া যায়। এর অধিক হলে উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করতে হবে। তাই আগামী অর্থ বছরে ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পল্লী উন্নয়ন সমিতিতে তাদেরও নিজস্ব অর্থ রয়েছে।