- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

পরীক্ষার ফলাফল ফাঁসের ঘটনায় দু’শিক্ষকসহ জড়িত ৬

Chittagong_Collegiate_School_Gate

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ফাঁসের ঘটনায় মোট ছয়জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এঁদের মধ্যে দুজন ওই স্কুলের শিক্ষক; দুজন স্কুলের কর্মচারী এবং বাকি দুজন কোচিং সেন্টারের পরিচালক।

স্কুলের দুই সহকারী শিক্ষক হলেন মো. আনোয়ার হোসেন ও আনিছ ফারুক। কর্মচারী হলেন উচ্চমান সহকারী মো. ফারুক আহমেদ ও কম্পিউটার অপারেটর রিদুয়ানুল হক। এ ছাড়া ‘বাবলা স্যার কোচিং সেন্টারের’ পরিচালক বাবলা দে ও ‘মামুন কোচিং সেন্টারের’ পরিচালক মামুনও এই অপরাধে জড়িত বলে জেলা প্রশাসনের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।

এরই মধ্যে প্রশাসন স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর রিদুয়ানুল হককে বরখাস্ত করেছে। পাশাপাশি স্কুলের চার শিক্ষক-কর্মচারী ও দুই কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে গত রবিবার নগরের সদরঘাট থানায় মামলা করেছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল গত ২১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তার আগেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ওই ফলাফল। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর হওয়ার আগেই ফলাফল ফাঁস হওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে এ নিয়ে তদন্ত হয়।

গতকাল জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের পর জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরের জন্য ওই কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হলে ওই কেন্দ্রের কম্পিউটারে সংরক্ষিত সফট কপি পুনরায় প্রিন্ট করে শিক্ষক-কর্মচারী ও কিছু অভিভাবকের সহায়তায় ‘বাবলা স্যার কোচিং সেন্টার’-এর পরিচালক বাবলা দেকে সরবরাহ করা হয়।

এ ছাড়া ‘মামুন কোচিং সেন্টার’-এর পরিচালক মামুনের সহায়তায় বাবলা দে ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কম্পিউটার অপারেটর রিদুয়ানুল হককে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) আনিছ ফারুক ও উচ্চমান সহকারী মো. ফারুক আহমেদের এ অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফলাফল ও পরবর্তী সময়ে সরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফল একই হওয়ায় ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করা হয়নি।