- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

পটিয়ায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় একজন আটক

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃতের অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জিয়াউদ্দিন মো. সাকিবকে মারধরের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে পটিয়া থানার পুলিশ স্থানীয় গ্রাম থেকে তাকে আটক করে। আটক আবদুর রহমান (২৫) মারা শিশুর মামা। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুর পিতা এখনো পলাতক। এর আগে মারধরের শিকার চিকিৎসক বাদী হয়ে শিশুর পিতা ও মামার নাম উল্লেখ করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘চিকিৎসককে মারধরর ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া মামলায় নাম উল্লেখ থাকা শিশুর পিতাকে আটকের চেষ্টা চলছে।’  চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তবে গত শনিবার রাতে একজনকে আটকের পর তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। আহত চিকিৎসকও হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন।’

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম  মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘মৃত্যু পরবর্তী ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃতদেহের পেশি সংকোচন অবলোকন করা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর জন্য চিকিৎসককে দায়ী করে তার ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তাই আমরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করেছিলাম। পুলিশ এজহারভুক্ত দুই আসামির মধ্যে একজনকে আটক করেছে। আমাদের দাবি- ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ ও গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকোরিক্তি অনুযায়ী বাকী হামলাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পটিয়ার বরলিয়া ইউনিয়নের ওকন্যারা গ্রামের ইমরান হোসেন তার দুই বছরের ছেলে জুবায়ের হোসেনকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে মুমুর্ষূ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়ার পর নড়েচড়ে উঠেছে ও বেঁচে আছে বলে ঘণ্টা খানেক পর আবারও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এসময় আবারও চিকিৎসকরা দেখে মৃত বলেই ঘোষণা করেন। তখন ভুল চিকিৎসায় শিশুটির মৃত্যুর অভিযোগ তুলে এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষরা কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বিডি প্রতিদিন