____জেসমিন সুলতানা চৌধুরী____
মেয়েদের জীবন কেন এমন হয়,
যাদের নেই কোনো নিজস্ব পরিচয়।
শুরুতেই বাবার মেয়ে
হয় তার পরিচয়,
মাঝে স্বামীর স্ত্রী
আবার নতুন পরিচয়,
অবশেষে পরিচিতি সন্তানের মায়ের পরিচয়।
পরগাছার মতো বেড়ে ওঠে লতিয়ে,
আবার যেতে হয়
নতুন ঘরে নতুন গাছের পরগাছা হয়ে।
ধুর ধুর করে যদি ছুঁড়ে ফেলে দেয়,
বেরিয়ে যেতে হয় মাথা নুয়ে।
কোথা ও নেই কোনো অধিকার,
জন্মই যেন আজন্ম মাথা নোয়াবার।
দামী গহনার মতো কেউ রাখে সাজিয়ে অতি যতনে,
কেউ যখন খুশি তখন ভাঙ্গে
রাখে না কোন বন্ধনে,
কেউ ভেঙ্গে খানখান করে আনন্দ খোঁজে পৈশাচিক জীবনে।
সব ব্যাথা লুকিয়ে মনের গহীন বনে
যদি জীবন করে উৎসর্গ, মৃত্যুকে করে আলীঙ্গন, তবেই মিলে সম্মান।
যদি অধিকার না পেয়ে
আত্মনির্ভরশীল হতে চায়,
নিকটজন ও ছাড়ে না
করে অপমান।
এ সমাজ কেন হবে শুধু পুরুষের?
নারীই তো সৃষ্টির রূপকার। নারীই তো সৃষ্টির আদি স্রষ্টার।
তবে এ সমাজ কেন নয় নারীর?
তবে কেন আজ ঘরে ঘরে তারা নির্মমতার শিকার?
পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী,
ধনদৌলত এসবে তারা
পরিপূর্ণ সুখী কখনো নয়।
নারী চায় আপনজনের থেকে একটু স্বীকৃতি, একটু স্বকীয়তা,
একটু সম্মান।
নারী চায় তাদের ইচ্ছার যথাযথ মূল্যায়ন।