রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘দেখে মনে হবে যেন, এই মাত্র কেউ পানি ফেললো ফ্লোরে।’
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের হামিদ রনি ফেসবুকে বলেছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমাদের ঘরের প্রত্যেকটি রুমের ফ্লোর পানিতে ভিজে গেছে। কোন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু এখন শুনি আরো অনেকের ঘরেই নাকি এরকম পানি উঠেছে ফ্লোর থেকে। এমনটা হওয়ার কারণ কি ?’
রাশেদ খান নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাদের এলাকার সবার বাসার ফ্লোর ঘামছে। পরিমান এত বেশি যে, শুকনা কাপড় দিয়ে মুছলেই আবারো সাথে সাথে ভিজে যাচ্ছে। শুধু নিচ তলার ফ্লোর না। উপরের তালার ফ্লোরও ঘামছে। ফেসবুকে এসে দুই জনের পোস্ট দেখলাম উনাদেরও একই অবস্থা।’
ফেসবুকে অধিকাংশ মানুষ এ ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৃষ্টির কারণে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে গেলে অনেক সময় এ ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। আবার কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলেও এটি হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক দিলারা জাহিদ বলেন, এ ঘটনার সাথে ভূমিকম্প বা জলবায়ু পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। এ ঘটনাকে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি হলে বাষ্প দেয়াল ও মেঝেতে লেগে ঘামের মতো মনে হয়। গ্লাসে বরফ রাখলে গ্লাসের বাহিরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানেও বিন্দু বিন্দু পানি জমতে থাকে। এছাড়া অন্য কারণ নেই।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, হুট করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘরের মেঝে ঘামছে। কয়েকদিন থেকে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা নিচে নেমে গিয়েছিল। এখন বাড়ছে। শীতের দিন শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ির ভেতরও ঘেমে যায়। এর কারণ তাপমাত্রার তারতম্য।