নিউজ ডেক্স : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। কেউ কথা রাখেনি, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন একটি দেশকে অল্প সময়ে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। আজ আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। অতিতের অনেক সরকার দেশের উন্নয়নের কথা বলে ক্ষমতায় থেকেছেন। বহি:বিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকতেন তারা। তাকিয়ে থেকেই দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি ওই সব সরকার। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশের কোনো মানুষকে আজ না খেয়ে থাকতে হচ্ছেনা। আজ ৬ অক্টোবর শনিবার দুপুরে সাতকানিয়ার দেওদীঘি কে. এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গৌরবময় পথচলার ৬৪ বছর পূর্তি উদযাপন ও পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম সেলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী, পাবনার যুগ্ম জেলা জজ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, মহাকাশে আজ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। চট্টগ্রামের নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। অতিতের জিয়া ও এরশাদ সরকার টানেল নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন দেশের মানুষকে। কেউ টানেল করেনি। শেখ হাসিনাই করে দেখাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার আজ ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গেছে। আদালত রায় দিয়েছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন দুর্নীতি হয়নি। নিজস্ব অর্থায়নে আজ শেখ হাসিনা সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই গ্রামঞ্চলেও পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিকভাবে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ দ্বারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামীতেও বর্তমান সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সুধী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।