নিউজ ডেক্স: চন্দনাইশ পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত বাজার সমূহের ইজারার নির্ধারিত দিন ছিল গত বুধবার। এ উপলক্ষে বাজার ইজারা নিতে আগ্রহীরা সরকারি ফরম ক্রয় করে গত বুধবার টেন্ডার ফরম জমা দিতে চন্দনাইশ পৌরসভায় গেলেও দূর্বৃত্তের বাধার মুখে বাগিচাহাট বাজারের বর্তমান ইজারাদারসহ অনেকেই টেন্ডার জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বাগিচাহাট বাজারের বর্তমান ইজারাদার মো. জিয়াউল হকসহ কয়েকজন আগ্রহী প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। টেন্ডার জমা দিতে বাধা দেয়ার ঘটনায় বাগিচাহাট বাজারের প্রথম ডাক বাতিল করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, ১৪৩২ বাংলা সনের চন্দনাইশ পৌরসভার আওতাধীন সরকারি বাজারসমূহের ইজারা দেয়ার লক্ষে পৌরসভা কর্তপক্ষ ইতিমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে। ফরম জমাদানের নির্ধারিত তারিখ ছিল গত বুধবার দুপুর একটা পর্যন্ত। তাই উক্ত বাজারের বর্তমান ইজারাদার মো. জিয়াউল হকসহ ইজারা পেতে আরো বেশ কয়েকজন নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে টেন্ডার ফরম জমা দিতে গেলেও দূর্বৃত্তের বাধারমুখে টেন্ডার ফেলতে পারেনি।
এ ব্যাপারে মো. জিয়াউল হক ও মো. ফারুকুর রহমান নামে ২ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বাগিচাহাট বাজারের প্রথম ডাক বাতিল করা হয়। এর আগে একই ঘটনা ঘটে উপজেলার ধোপাছড়ি বাজারের ইজারা নিয়েও। দূর্বৃত্তদের বাধার মুখে বর্তমান ইজারাদারসহ অনেকেই টেন্ডার জমা দিতে না পারায় ধোপাছড়ি বাজারের প্রথম ডাকও বাতিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন উপজেলার বাগিচাহাট ও ধোপাছড়ি বাজারের টেন্ডার জমা দিতে বাধা দেয়ার বিষয়ে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাজার ২টির প্রথম ডাক বাতিল করা হয়েছে। পুণরায় বাজার দুইটির টেন্ডার আহবান করা হবে।