- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

চরম্বা মাইজবিলা-আবাসন রাস্তা চলাচল অযোগ্য

581

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা হতে আবাসন প্রকল্প অতিক্রম করে যে রাস্তাটি হাতিরডেরা পর্যন্ত চলে গেছে সেটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসীরা দাবী করেছেন। কারণ বহুবিধ। প্রতিদিন বালুবাহী, ইট ও কাঠবাহী ট্রাক প্রকাশ্যে এ রাস্তা অতিক্রম করে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ও ভারী যানবাহনের চাপে রাস্তাটির বেহাল দশা বলে ভুক্তভোগীরা বলেছেন। ৭ অক্টোবর ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তাটির করুণ দশা প্রত্যক্ষ করেছেন।

এলাকাবাসীরা বলেছেন, সমস্যাটি দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। ইট, বালু ও কাঠবাহী ট্রাক হতে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় চরম্বা-মাইজবিলা সংযোগ সড়কে একটি মহল প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করে বলে প্রকাশ। তবে স্থানীয় মেম্বার জয়নাল আবেদীন দাবী করেছেন, চাঁদাবাজীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে ব্রিকফিল্ড ও বালু মহালের এখানে অফিস রয়েছে। তারা রয়েলটি আদায় করেন। জানা যায়, প্রতিদিন এলাকার মাইজবিলা গুচ্ছগ্রাম, আবাসন, হাতিরডেরা ও সন্নিহিত পার্বত্য বান্দরবান জেলার রঞ্জু পাড়া ও অন্যান্য পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণ তাদের প্রয়োজনে এ রাস্তা অতিক্রম করে লোহাগাড়ার দরবেশহাট, উপজেলা সদর, তেওয়ারীহাট, চরম্বার নাফারটিলা, নয়াবাজার ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন। রাস্তাটি বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারে কেনাবেচা করতে পারেন না। মাইজবিলা স্কুল এলাকার অসংখ্য শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা অতিক্রম করে। রাস্তার পাশে গুচ্ছগ্রামের ৪০ পরিবার ও আবাসনে ১৫০ পরিবার বসবাস করেন। ৪০ পরিবারের পাশেই প্রকাশ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা হতে আহরিত বোল্ডার (পাথর) কেনাবেচা হয়। তার পাশে রয়েছে ইটভাটা। ইটভাটায় প্রতিদিন কাঁচামাল হিসাবে পাহাড় কাটা মাটি ব্যবহৃত হয়। আবাসন প্রকল্প ঘিরে অনুরূপভাবে আরো একটি ভাটা রয়েছে। আবাসন প্রকল্পের পূর্ব পাশে জর খালে লাম্বা বিল এলাকায় বিধান অমান্য করে দীর্ঘদিন মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে বালু খেকোদের অপতৎপরতা প্রত্যক্ষ করেছেন। কয়েকদিন আগে অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় লোহাগাড়া ইউএনও মোঃ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত পুটিবিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকা মূল্যের বালু ও মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেন। এ খবর দৈনিক আজাদীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকাবাসীরা লম্বা বিল এলাকায়ও অনুরূপ অভিযান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সূত্র : সাংবাদিক মোঃ জামাল উদ্দিন