- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

চমেক হাসপাতাল ‘নিউ লুক’ পাচ্ছে

5bg20171030095210

নিউজ ডেক্স : এ জনপদের গরিব ও মুমূর্ষু রোগীদের শেষ ভরসাস্থল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ‘নিউ লুক’ পাচ্ছে।

জীর্ণশীর্ণ টিনের ছাউনির গাড়ি বারান্দা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পূর্ব গেট ভেঙে চওড়া করে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। জরুরি বিভাগে ঢোকার ও বের হওয়ার সড়কটি প্রশস্ত করে ডিভাইডার দেওয়া হচ্ছে। জোরদার করা হয়েছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।

সরেজমিন পরিদর্শনে এসব বিষয় নজর কাড়ছে চমেকের ছাত্র-শিক্ষক, হাসপাতালের রোগী, স্বজন ও চিকিৎসকদের।

চমেকের একজন চিকিৎসক জানান, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে চমেক হাসপাতাল পরিচালক বলেছেন দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় রোহিঙ্গা চিকিৎসাসহ যখনি চমেক হাসপাতাল সম্পর্কিত কোনো সংবাদ পরিবেশিত হয় তখন টিনের ছাউনির গাড়ি বারান্দ‍াসহ ভবনটির ছবি ছাপানো হয় বা দেখানো হয়। তাই গাড়ি বারান্দাটি দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, হাসপাতালের গাড়ি বারান্দাটি জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টিতে রীতিমতো টিনের ছাউনি দিয়ে পানি পড়ত। তাই এটি ভেঙে দৃষ্টিনন্দন একটি গাড়ি বারান্দা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেটি তৈরি হলে নিউ লুক পাবে চমেক হাসপাতাল। এতে হাসপাতালের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

জরুরি বিভাগের সড়ক ও পূর্ব গেট সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘাটে এসে যাতে তরী না ডোবে সেজন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগে রোগীদের বহনকারী গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স যাতে দ্রুত যাওয়া-আসা করতে পারে সে লক্ষ্যে সড়কটি চওড়া করে মাঝখানে ডিভাইডার দেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য যখন প্রতিটি সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশপথটি অবশ্যই প্রশস্ত হতে হবে।

১৬-১৭ লাখ টাকায় কাজগুলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে হচ্ছে জানিয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমরা চেষ্টা করব যাতে দ্রুত কাজ শেষ হয়। এ জন্য গণপূর্ত বিভাগকে আমরা চাপ দেব গাড়ি বারান্দার কাজ শেষ করার জন্য নয়তো হাসপাতালের রোগী, স্বজন, চিকিৎসকদের অসুবিধা হবে।

তিনি জানান, ষাটের দশকে যখন এ হাসপাতাল ভবন তৈরি করা হয় তখন পাঁচশ শয্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে অবকাঠামো তৈরি হয়েছিল। এখন এটি ১৩১৩ শয্যার হাসপাতাল। প্রতিদিন গড়ে রোগী থাকে আড়াই-তিন হাজার। স্বাভাবিকভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়াটা কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি।

ইতিমধ্যে আমাদের নতুন এমআরআই মেশিন উদ্বোধন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডায়ালাইসিস সেন্টারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। অনেক নতুন নতুন যন্ত্রপাতি এসেছে। আরও পাইপলাইনে আছে। ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল হচ্ছে। এ হাসপাতালকে ঘিরে সরকারের অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা আছে। -বাংলানিউজ