নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেডিকেল সেন্টারে ছাত্রী যৌন নিপীড়নের ঘটনার পর অবশেষে স্থায়ীভাবে তিন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজন পুরুষ চিকিৎসকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তবে এতে করে মহিলা চিকিৎকের সংখ্যা ছয়জনে দাঁড়ালো। এর ফলে এখন থেকে ছাত্রীরা ২৪ ঘণ্টাই মহিলা চিকিৎসকের সেবা পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা হলেন- ডা. নিগার সুলতানা, ডা. সাঈদা আক্তার শাহানা, ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ও ডা. শান্তনু মহাজন।
এ নিয়োগের ফলে ছাত্রীদের জন্য মহিলা চিকিৎসক নিয়োগের যে দাবি ছিল তা অবশেষে পূরণ হলো। গত ১২ মার্চ চবি মেডিকেল সেন্টারে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মহিলা চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিও প্রদান করে।
নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রী মুনতাহা মুহি বলেন, প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতে চিকিৎসকরা ভালো আচরণ করে সেটিও যাতে নিশ্চিত হয়।
নিয়োগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.কামরুল হুদা বলেন, যেহেতু মেডিকেলে একটি ঘটনা ঘটেছে এবং শিক্ষার্থীরা মহিলা চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছিল। তাই তাদের দাবিটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনজন মহিলা চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু এখন ছয়জন মহিলা চিকিৎসক। তাই ২৪ ঘণ্টাই ছাত্রীরা মহিলা চিকিৎসকের সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেলে যায় এক ছাত্রী। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তফা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার ওপর যৌন নিপীড়ন করে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রীটি। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।