নিউজ ডেক্স: নগরের নিউমার্কেট মোড় থেকে ফলমন্ডিতে হকারদের পুনর্দখল ঠেকাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অভিযান চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অভিযানে ব্যবহৃত চসিকের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
চসিক মেয়রের পিএস মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, চসিকের অভিযানে হকাররা বাধা দিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০-১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। চসিকের চার-পাঁচটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সিএমপির এডিশনাল কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নূরুল আলম লেদু বাংলানিউজকে বলেন, হকাররা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চিপায়, কোণে বসেছিল। চসিকের লোকজন হকারদের মারছিল। ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেছে কয়েকজনকে। কারাদণ্ডও দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলাম। তখন ওৎপেতে থাকা বহিরাগতরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল মেরেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের আক্রমণে বিচ্ছিন্নভাবে হকাররা যেদিক পেরেছে প্রাণভয়ে পালিয়ে গেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হকাররা পেটের ভাত জোটাতে পারছে না, যুদ্ধ করবে কীভাবে। এ ঘটনায় মামলা সাজানো হবে এবং আমাদের গ্রেপ্তার করা হবে এমন আশঙ্কা করছি।
অভিযান সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা জানান, রাস্তা, নালা ও ফুটপাত দখল করা প্রায় তিনশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি আমরা৷ এসময় অবৈধ দখলদাররা বাধা দিলে আমরা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পুনর্দখল ঠেকাতে মনিটরিং চলমান থাকবে।
উচ্ছেদকালে অবৈধ দখলদারদের আকস্মিক হামলায় ৩ পুলিশ ও চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের ৪ কর্মী আহত হন৷ দখলদাররা ২টি ডাম্প ট্রাক, ১টি পিকআপ ও চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের ১ টি এরিয়াল লিফট ভাংচুর করে৷ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চসিক৷