নিউজ ডেক্স : বিমানের কেবিন ক্রু সৈয়দা মাসুমা মুফতি। চট্টগ্রামের মেয়ে এই বিমানবালাকে নিয়ে তোলপাড় চলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে। গত শুক্রবার লন্ডনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিজি–০০১ ফ্লাইটের স্টুয়ার্ড হিসেবে তার যাওয়ার কথা ছিল। রেওয়াজ অনুযায়ী ভিভিআইপি ফ্লাইটে ওঠার আগে পরীক্ষাকালে (ডোপ ট্স্টে) ওই ক্রু’র শরীরে মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় তাকে আর ওই ফ্লাইটে যেতে দেওয়া হয়নি। গত রবিবার মাসুমাকে গ্রাউন্ডেড করে বিমান কর্তৃপক্ষ। ওই ফ্লাইটের চিফপার্সার ছিলেন কাস্টমার সার্ভিসের ডিজিএম নুরুজ্জামান রঞ্জু। মাসুমার মাদক সেবনের বিষয়টিধামাচাপা দিতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন তিনি নিজেও। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সোমবার তাকেও গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
প্রশ্ন ওঠেছে, কে এই মাদকসেবী বিমানবালা সৈয়দা মাসুমা মুফতি?

সয়দা মাসুমা মুফতি দীর্ঘদিন ধরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ফ্লাইট স্টুয়ার্ড হিসেবে কর্মরত।আগ্রাবাদ মহিলা কলেজে থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর পরই ২০০১ সালের মে মাসে বিমানেযোগ দেন। ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত মাসুমা এক কন্যা সন্তানের মা। তবে স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না। মেয়েকে নিয়ে আলাদাভাবে থাকছেন। নিজের মতোই পশ্চিমা ধাঁচের জীবন যাপনে অভ্যস্ত তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের একাধিক কর্মী জানান, মাসুমা মুফতি নিয়মিতইমাদকসেবন করতেন। তার মদ্যপান ও মাদকসেবনের বিষয়টি সহকর্মীদের কাছে ছিল অনেকটা ওপেনসিক্রেট। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে এতোদিন চেপে রাখার কারণ একজনই, তিনি হলেন বিমানের কাস্টমার সার্ভিসের প্রভাবশালী কর্মকর্তা নুরুজ্জামান রঞ্জু।
এদিকে, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেছেন, মাদক গ্রহণকারী এবং তার তথ্য ধামাচাপার চেষ্টাকারী দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াহবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সূত্র : দৈনিক পূর্বকোণ