নিউজ ডেক্স : গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইয়াহু ও অ্যামাজন এর মতো ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ সব ধরনের রাজস্বের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান বিগত ১০ বছরে কী পরিমাণ অর্থ আয় করেছে সে বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, আইন সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, বাংলদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, এনবিআর চেয়ারম্যান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, প্রথম আলো সম্পাদক ও বাংলাদেশ নিউজ পেপারস ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু এবং ইউটিউবকে কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল এসব প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী। রিটকারী ছয় আইনজীবী হলেন- ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার, অ্যাডভোকেট আবু জাফর মো. সালেহ, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের।
পরে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব জানিয়েছিলেন, প্রযুক্তির যুগে গুগল, ফেসবুক এখন প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখতে আগ্রহী। দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে। বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এই সুযোগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানসমূহ কিন্তু সরকারকে এক টাকাও রাজস্ব দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর কত টাকা বিজ্ঞাপন বাবদ বিদেশে পাচার হচ্ছে তার সঠিক কোনো হিসেব নেই সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছে। কারণ বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের অর্থ পরিশোধ করছেন ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে। এর কোনও তথ্য কারও জানা নেই। কত টাকা সরকার আয় করছে আবার কত টাকা এসব কর্তৃপক্ষ নিয়ে যাচ্ছে।’
তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত ৭ এপ্রিল ৬ জন আইনজীবী লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনও প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এই রিট করা হয়।