- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়!

নিউজ ডেক্স : মাদারীপুর জেলার শিবচরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজনের  নামে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করেন ভুক্তভোগী সুজন শেখ।

সুজন ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। মামলার আসামিরা হলেন- শিবচরের দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম অ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকান বেপারী।

মামলার এজাহারের বলা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে পদ্মাসেতু এলাকা ভ্রমণ করে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন। মাঝপথে মাদারীপুরের শিবচরের সূর্যনগর এলাকায় এলে সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবি করেন। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের ওই দুই সদস্য। সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে সুজনের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেন তারা। পরে ঘটনাটি কাউকে না বলার শর্তে সুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

এ ঘটনায় ওইদিনই শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলাটি নেয়নি। পরবর্তীকালে সুজন শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করেন। মামলাটির শুনানি শেষে বিচারক তারিখের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।

মামলার বাদী সুজন শেখ জানান, কোনো কারণ ছাড়াই মোবাইল থেকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। যার প্রমাণ আদালতে মামলার নথিতে দেওয়া হয়েছে। মূলত তারা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এ টাকা নিয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) আব্দুল হান্নান জানান, ব্যক্তিগত কোনো দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নিবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলানিউজ