- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

কুরআনের হাফেজসহ গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু

Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

নিউজ ডেক্স : গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কুরআনের হাফেজসহ দুই রোহিঙ্গা যুবক।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের এমএসএফ ক্লিনিকে তারা মারা যান।

এমএসএফ ক্লিনিকে মারা যাওয়া রোহিঙ্গা যুবক হলেন হাফেজ হারুন (৩৫)। তিনি মিয়ানমারে মংডুর শাহাববাজার এলাকার শামশুল আলমের ছেলে।

আর চমেকে মারা যাওয়া গুলিবিদ্ধের নাম মো. মুসা (২২)। তিনি মংডুর জেদিন্না থানার মেহেন্দি এলাকার ইসমাইলের ছেলে।

কুতুপালং রেজিষ্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাফেজ হারুন শুক্রবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ক্যাম্পে অবস্থান করা স্বজনদের মাধ্যমে তিনি কুতুপালং এসে এমএসএফ ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান। দুপুর ২টার দিকে জানাজা শেষে রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের ডি-ব্লক এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

অপরদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা মুসা (২২) ও মোকতার (২৭) নামে অপর দুই যুবককে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুসা মারা যান।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই  শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন রোহিঙ্গা মুসা। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শনিবার সকাল ৭টায় হাসপাতালে চমেকে আনা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু  হয়। লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রোহিঙ্গাদের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে মংডুর লাইল্লাতলী বিজিপি ক্যাম্প এলাকায় তারা গুলিবিদ্ধ হন এবং শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে নৌকাযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার একটি ক্লিনিকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুসা মারা যায়।আর অপর আহত মোকতার এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। -যুগান্তর