নিউজ ডেক্স : ড. বিজন কুমার শীল। বিজ্ঞানী ও গবেষক। আলোচনায় এসেছিলেন ছাগলের রোগ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে। তবে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেন ২০০৩ সালে সিঙ্গাপুরে ছড়ানো সার্স ভাইরাস শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করে। এখন তিনি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করে। তার নেতৃত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট এখনো অনুমোদন পায়নি, তবে ড. বিজন গবেষণায় মগ্ন এই করোনাভাইরাস নিয়ে। কর্মদিন কি ছুটির দিন, নিরলস গবেষণায় পড়ে থাকা মানুষটির করোনা নিয়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে তিনি তাদের উদ্ভাবিত কিট, করোনাভাইরাসের বর্তমান গতি-প্রকৃতি এবং সামনের দিনগুলো কেমন যাবে, তা নিয়ে কথা বলেছেন। বিশেষ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন প্রদীপ দাস।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা মুক্তিতে দ্রুত ভাইরাস শনাক্ত, দ্রুত চিকিৎসা এবং তার মনোবল কাজে দিয়েছে
>> গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিডনিতে সমস্যা ছিল, তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়। পাশাপাশি তার আগে থেকেই নিউমোনিয়ার সমস্যাও রয়েছে। তারপরও তিনি করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। তার করোনা মুক্তিতে কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে?
বিজন কুমার শীল:
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা মুক্তিতে তিনটা বিষয় বলতে হবে। এক. আর্লি
ডায়াগনস্টিক (দ্রুত করোনা শনাক্ত); দ্বিতীয়ত, আর্লি ইন্টারভেনশন বা দ্রুত
চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাকে প্লাজমা থেরাপি খুব দ্রুত দেয়া হয়েছিল। যার জন্য
ভাইরাস খুব ক্ষতি করতে পারেনি। তৃতীয়ত, তার মনোবল। তিনি করোনাকে ভয় পেতেন
না। করোনার সাথে যুদ্ধ করেছেন। তার যে অসম্ভব মনোবল, সেটা বড় ভূমিকা রেখেছে
করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। কারণ তার অসংখ্য অসুবিধা ছিল, কিডনি
ড্যামেজ, লাংয়ের সমস্যা ছিল, নিউমোনিয়া ছিল আগে থেকেই। সবকিছুর পরও তিনি
টিকে আছেন শুধু এই তিনটি কারণে।
>> করোনায় রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে হারাতে হচ্ছে। যেখানে নানা জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা থেকে সেরে উঠলেন, সেখানে তারা পারছেন না কেন?
বিজন কুমার শীল:
আমাদের দেশের চিকিৎসকরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ। তাদের চিকিৎসার নিজস্ব পরিকল্পনা
আছে। আমি এ বিষয়ে কারও সমালোচনা করতে চাই না। আমার ধারণা হচ্ছে, প্লাজমা
থেরাপিটা বিবেচনায় আনা উচিত। একটু চিন্তা করে দেখা উচিত। আমি বলবো না দেন।
কিন্তু ডা. জাফরুল্লাহর আমাদের কথা রেখেছিলেন এবং বিশ্বাস করে প্লাজমা
নিয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএমএ) বিষয়টি নিয়ে ভাবতে
হবে। তারা যদি প্রযোজ্য মনে করেন কিংবা ডা. জাফরুল্লাহর লাইন-আপ
ট্রিটমেন্ট থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। যারা আজকে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি,
যারা ৬০ বছরের বয়সসীমা পার হয়ে গেছেন বা কোনো জটিলতায় আছেন, তাদের বিষয়ে
একটা স্পেশাল টাস্কফোর্স হওয়া উচিত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পাশাপাশি ৬০
বছর বয়সীদের বিশেষ টাস্কফোর্সের আওতায় চিকিৎসা করা উচিত। তাদের লাইনআপ
ট্রিটমেন্ট ভিন্ন হওয়া উচিত। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে ডা. জাফরুল্লাহর
ট্রিটমেন্টের লাইন ফলো করা যেতে পারে।
আগামী দুই মাসের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে আসবে
>> সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (মারা গেছেন) প্লাজমা নিয়েছিলেন। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, প্লাজমা ব্যবহার না করার জন্য। এ বিষয়ে আপনার মত কী?
বিজন কুমার শীল:
আমি ডব্লিউএইচও’র সমালোচনা করতে চাই না। আমি মনে করি, প্লাজমা থেরাপি দেয়া
যায়। ব্যক্তিগত জীবনে আমি অ্যানিমেল ট্রিটমেন্ট (প্রাণীর চিকিৎসা) করার
সময় প্লাজমা দিয়ে অসংখ্য প্রাণীকে রক্ষা করেছি। ব্লাড ট্রান্সমিশন যদি করা
যায়, প্লাজমা থেরাপি কেন দেয়া যাবে না? এর সায়েন্টিফিক (বৈজ্ঞানিক)
ব্যাখ্যা নেই। ডব্লিউএইচও কী ভাবছে আমি জানি না। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়
ইতোমধ্যে প্লাজমা ব্যবহার শুরু করেছে। চীনেও এটা দেয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে
দেখেন, অনেক দেশে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ডা.
জাফরুল্লাহ একটা বড় উদাহরণ। তবে মনোবলটা একটা বড় জিনিস। যদি মনে করি,
করোনা হয়েছে আমি মারা যাব। তাহলে আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। ডা. জাফরুল্লাহ
তো ফাইট করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি বেঁচে থাকবো। আমি করোনাকে জয় করবো। এই যে
একটা মানসিকতা, এটা কিন্তু মানুষের সার্বিক ইমিউন সিস্টেম (রোগ-প্রতিরোধ
ক্ষমতা) বা সারা শরীরের সব অর্গানকে অ্যাক্টিভ (সক্রিয়) রাখে। যদি ভয় করেন,
দেখবেন ভয় পাওয়া ব্যক্তি সহজেই মারা যান। অনেকে ভয় পেয়েই মারা যান। এটা
সম্পূর্ণ মানসিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। ট্রিটমেন্ট পরে। ট্রিটমেন্ট
সাপোর্ট করে, কিন্তু মানসিক পরিস্থিতি সবচেয়ে বড় জিনিস। দ্রুত করোনা শনাক্ত
করা, প্রোপার ইন্টারভেনশন এবং মানসিক শক্তি – এই তিনটি যদি কারও হাতে
থাকে, তাহলে তাকে করোনাভাইরাস কাঁবু করতে পারবে না।
>> বর্তমান সময়কে করোনার পিক টাইম (সর্বোচ্চ সংক্রমণ) বলবেন কি-না?
হার্ড ইমিউনিটি ছাড়া মুক্তির পথ নেই, হার্ড ইমিউনিটি আসতেই হবে, এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করে লাভ হবে না
বিজন কুমার শীল: আমার
মনে হয়, আমরা ইতোমধ্যে করোনার পিক টাইমে চলে এসেছি কিংবা কাছাকাছি এসেছি।
আমার যেটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, আপনারা যে পরিমাণ আক্রান্ত দেখেছেন, তার চেয়ে
অধিক মানুষ কিন্তু (করোনা থেকে) সেরে উঠেছে এবং তারা জানেন না। তাদের কোনো
আইডিয়াই নেই। হয়তো তাদের একটু গা ব্যথা করেছে, হালকা জ্বর হয়েছে, একটু
কাঁশি হয়েছে বা একটু পেটে সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু তারা এখন সুস্থ হয়ে
উঠেছেন। যারা আক্রান্ত তাদের থেকে সেরে ওঠার সংখ্যা ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি
হবে। মনে করেন, সুন্দরবন কিন্তু বড় বড় ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি প্রায় ৫০ ভাগ কমিয়ে
দিতে পারে। ঠিক একইভাবে যাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা)
এসে গেছে, তারা কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বন্ধ করে দিতে পারে।
কারণ তাদের ভেতরে ভাইরাস গ্রো করতে (টিকতে বা বেড়ে উঠতে) পারবে না। ভাইরাস
যখনই গ্রো করতে না পারবে, তখন ভাইরাসের পরিমাণ কমে আসবে। যখনই কমে আসবে,
তখনই মানুষ আর আক্রান্ত হবে না। এটা দ্রুত কমে যাবে। কারণ, ঢাকা শহরেই অনেক
মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে, তারা এই ভাইরাসকে তৈরি হতে আর
সাহায্য করবে না। সঙ্গত কারণেই তখন ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাবে এবং আমরা সবাই
তখন এর থেকে পরিত্রাণ পাব।
>> একজন মানুষের দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে কি-না?
বিজন কুমার শীল:
একেবারেই নেই। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যার একবার ইমিউন সিস্টেম রেসপন্স
করেছে, তার হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে কেউ যদি ইমিউন সিস্টেমের ক্ষতি হয় এমন
ওষুধ খান, তাহলে তার দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকতে পারে। অনেকেই
আছেন, বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির কারণে তাদের ওষুধ খেতে হয়। তাদের ক্ষেত্রে হওয়ার
একটু সম্ভাবনা আছে। যারা সুস্থ হয়ে যাবেন, তারা এক বছর তো কমপক্ষে, অনেকে
দুই বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবেন। তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করার মতো
একটা ব্যবস্থা হয়ে আছে। তখন ভাইরাসটার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে, বডির ইমিউন
সিস্টেম বুস্ট আপ হবে। এটা অনেকটা ভ্যাকসিনের মতো বলতে পারেন।
>> করোনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি-না?
বিজন কুমার শীল:
আমি মনে করি, দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। করোনা যেতে বাধ্য। এসব ইনফেকশন
থাকে না। কারণ যেসব ইনফেকশন প্যানডামিক (মহামারি) হয়, সেগুলো একটা সময়
পৃথিবী থেকেই চলে যায়। এরা থাকে না। আমার মনে হয়, আগামী দুই মাসের মধ্যে
ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে আসবে।
গ্রামাঞ্চলে হয়তো এটা কিছু কিছু থাকতেও পারে, যদি হোস্ট (আক্রান্ত এবং
অ্যান্টিবডি জন্মায়নি এমন ব্যক্তি) থাকে। যেমন ধরেন ডেঙ্গু। ডেঙ্গু থাকে,
কারণ হলো মশার মাঝে ডেঙ্গু থাকতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের এরকম কোনো
ইন্টারমিডিয়েট হোস্ট নেই, যেখানে এটা থাকতে পারে।
সুতরাং সে এসেছে, আবার চলে যাবে। একেবারে চিরতরে বিদায় নেবে। একটু হয়তো
সময় লাগবে। আমাদের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে খুব শিগগির আমরা এ থেকে
মুক্তি পাবো। কারণ অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে, তারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে
ফেলেছেন শরীরে। অধিকাংশ মানুষের মাঝে যখন হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে, তখন
ভাইরাসটির পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব হবে না। তখন এমনি চলে চলে যাবে।
>> তাহলে এটাই করোনা থেকে মুক্তির পথ?
বিজন কুমার শীল: হার্ড
ইমিউনিটি ছাড়া মুক্তির পথ নেই। হার্ড ইমিউনিটি আসতেই হবে। এটা নিয়ে
দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। বরং এটাকে মোকাবিলা করতে হলে ডা. জাফরুল্লাহ
যেভাবে করেছেন, সেরকম মনোবল নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তার কাছ থেকে শিক্ষা
নেয়া উচিত। এই শিক্ষা সবার ঘরে ঘরে যাক। প্রত্যেকটা মানুষ এখান থেকে শিক্ষা
নিয়ে নিজের মনোবল তৈরি করুক। তাহলেই দেখবেন, করোনাভাইরাস আমাদের কাছ থেকে
চলে গেছে।
>> ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
বিজন কুমার শীল:
আমার অর্জন হলো ডায়নামিজম (গতিশীলতা)। তিনি এ বয়সেও আমাদের যেভাবে
নির্দেশনা দিয়েছেন এবং যেভাবে খোঁজ-খবর নিয়েছেন, সেটা খুব রেয়ার (বিরল)।
আজকে আমরা যে কিটটা সামনে আনার চেষ্টা করছি, হয়তো আসবে একদিন। এ কিট ডা.
জাফরুল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ করতে পারতেন না, আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিতে
পারি। এটা বড় শিক্ষা। দ্বিতীয়ত, তার অসীম মনোবল। যেটা তিনি করোনা মোকাবিলা
করে দেখালেন। আমি এ কাজটা করবো এবং পারবো– এই যে মানসিকতা, এটা আমি তার কাছ
থেকে শিখতে পারছি।
>> ডা. জাফরুল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ হলে এই কিট উদ্ভাবন সম্ভব হতো না- এটা কেন মনে হচ্ছে?
বিজন কুমার শীল:
এসব কাজে বাধা আসে। বাধাকে অতিক্রম করার মতো শক্তি ও মানসিকতা ডা.
জাফরুল্লাহর মধ্যে রয়েছে। যেটা অনেকের মধ্যে থাকে না। যেমন- ঠিক আছে, এতো
পয়সা খরচ করবো না। যাক গা, কী আছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, না, এটা আমি করবো।
এই যে শক্ত মানসিকতা, এ ধরনের মানসিকতা ছাড়া সম্ভব হতো না। পৃথিবীতে যা
সম্ভব হচ্ছে না, কিন্তু আমরা করছি। এটা কি সহজ কথা! খুব জটিল। বাংলাদেশের
মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ, যদিও আমরা উন্নতি করছি; এরকম একটি দেশ থেকে
বিশ্বসেরা একটি কিট বেরিয়ে আসবে, এটা মোটেই সহজ নয়।
>> যথাযথভাবে লালা সংগ্রহ সম্ভব না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) চিঠি দিয়ে আপনাদের অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা যাচাই স্থগিত রাখতে বলেছিলেন। ইতোমধ্যে লালা সংগ্রহের একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছেন আপনারা। সেগুলো কবে নাগাদ দেবেন বিএসএমএমইউকে?
বিজন কুমার শীল: ডিভাইসগুলো আমরা তৈরি করছি। আশা করি আজকের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। যতগুলো টেস্ট কিট দিয়েছি, লালা সংগ্রহের ততগুলো ডিভাইস দিতে হবে। তাদের প্রায় সাড়ে পাঁচশ’র মতো দিতে হবে। প্রত্যেকটা কিটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস দিতে হবে। রক্ত সংগ্রহ করতে হলে প্রত্যেকের জন্য যেমন আলাদা আলাদা সিরিঞ্জ দিতে হয়, তেমনি এটার ক্ষেত্রেও। তৈরি করার পর র্যানডম (এলোমেলোভাবে) টেস্ট করি, ঠিক আছে কি-না সবগুলো। যাতে ওখানে গিয়ে আবার যেন সমস্যা না হয়। আশা করছি, আগামী পরশুদিন বিএসএমএমইউকে দিতে পারবো। জাগোনিউজ