- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

নিউজ ডেক্স : ‘ক্রসফায়ারের’ নামে আবদুল আমিন ও মফিদ আলমকে হত্যার অভিযোগে কক্সবাজরের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলা দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত; একই সঙ্গে টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্ত মামলার নথিপত্র আগামী ৯ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপনের জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ। মামলা দুটিতে ৪৬ জন পুলিশ সদস্য এবং ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে (যারা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন) আসামি করা হয়েছে।

‘ক্রসফায়ারে’ আবদুল আমিন নিহতের ঘটনায় তার ভাই টেকনাফের বাহারছড়ার নুরুল আমিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আমার ভাই আবদুল আমিনকে আটক করে পুলিশ। এরপর পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়ার পরও ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে আবদুল আমিনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে পুলিশ। এ মামলায় ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জন পুলিশ সদস্য।

মফিদ আলম নিহতের ঘটনায় তার ভাই টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই আমার ভাইকে আটক করা হয়। এরপর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেয়ার পরও ১৪ জুলাই মফিদ আলমকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেয় পুলিশ। এ মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনই পুলিশ।

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সিনহা নিহতের ঘটনার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে হত্যার অভিযোগ ও সাংবাদিক নির্যাতনের দায়ে ইতোমধ্যে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষে টেকনাফ মডেল থানায় দুটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সিনহাকে আসামি করা হয়। পরে সিনহার বোনের করা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশকে আসামি করা হয়। এরপর ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল পলাতক রয়েছেন।

এ পর্যন্ত মামলায় ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে অন্যতম অভিযুক্ত ওসি প্রদীপ সর্বোচ্চ ১৫ দিন রিমান্ডে থাকলেও জবানবন্দি দেননি। তারা সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। জাগো নিউজ