ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | এমপি পাপুলের মামলা তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না বাংলাদেশ

এমপি পাপুলের মামলা তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না বাংলাদেশ

নিউজ ডেক্স : কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেছেন, মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকারের তদন্তে বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। মঙ্গলবার (৯ জুন) কুয়েত থেকে প্রকাশিত আরব টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সোমবার (৮ জুন) এস এম আবুল কালাম জানিয়েছেন, দূতাবাসের পক্ষ থেকে কাজী শহিদকে কোনো সহায়তা দেয়া হবে না। এছাড়া এখনও দূতাবাসে যোগাযোগ করেননি এমপি পাপুল।

গত শনিবার (৬ জুন) রাতে কুয়েত সিটির মুশরিফ এলাকার বাসা থেকে এমপি পাপুলকে আটক করে তাদের দফতরে নিয়ে যায় সিআইডি। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতবাসের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আটকের খবর নিশ্চিত করে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

সোমবার গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাপুলকে রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটর। কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাংসদ শহিদ ইসলামের বিষয়ে জানতে কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। তবে সোমবার (৮ জুন) বিকেল পর্যন্ত সে চিঠির জবাব পাইনি।’

কুয়েত সিআইডির কাছে তথ্য রয়েছে, কুয়েতে পাপুলের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইডি কর্মকর্তারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জেরা করে জানতে পেরেছে তাদের প্রত্যেকেই কুয়েত যেতে সাংসদ পাপুলকে তিন হাজার দিনার করে দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রতি বছর ভিসা নবায়নের জন্য সাংসদকে বাড়তি টাকা দিয়েছেন তারা। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সাংসদ কাজী শহিদের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগ এনেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে পাপুল এসব তথ্য অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের একটি সংবাদপত্রে বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সংসদ সদস্য পাপুল আলোচনায় আসেন। সে সময় এটিকে ‘ভুয়া সংবাদ’ আখ্যা দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!