Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | একাত্তরের জননী রমা চৌধুরীর শয্যাপাশে ওবায়দুল কাদের

একাত্তরের জননী রমা চৌধুরীর শয্যাপাশে ওবায়দুল কাদের

bg-(1)20180114161132

নিউজ ডেক্স : নগরীর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘একাত্তরের জননী’ খ্যাত, লেখিকা রমা চৌধুরীকে দেখতে এসেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) বেলা দেড়টায় জিইসির মেডিকেল সেন্টারে আসেন মন্ত্রী। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, মেডিকেল সেন্টারের ডা. হাসানুল বান্না, রমা চৌধুরীর ছেলে জহর লাল চৌধুরী, প্রকাশক আলাউদ্দিন খোকন, সুমন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী সিভিল সার্জন ও মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তারদের কাছে রমা চৌধুরীর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। কিছু সময় শয্যা পাশে অবস্থান করেন।

সিভিল সার্জন মন্ত্রীকে জানান, ডায়াবেটিস, গলব্লাডারের ব্যথা, ইনফেকশন, জ্বর, রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন। মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে। রমা চৌধুরী অপারেশনে রাজি নন।

পরে রমা চৌধুরীর কেবিনের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের জননী হিসেবে পরিচিত রমা চৌধুরী বার্ধক্যজনিক কারণে অসুস্থ। দেশের কাছে, জাতির কাছে, বিশেষ করে আজ মুক্তিযুদ্ধের সরকার শেখ হাসিনার সরকারের কাছে তার আত্মসম্মানবোধ প্রবল। আমি শুনেছি তিনি খালি পায়ে হেঁটে নিজের লেখা বই বিক্রি করে চলতেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। ডিসি সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি সরকারের উদ্যোগেরই অংশ। তিনি স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হলে সব ধরনের সাপোর্ট আমরা দেব।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রমা চৌধুরীর চিকিৎসার ব্যবস্থা না হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে বেশি টাকা চিকিৎসা করাতে হচ্ছে যা তার পরিবারের সাধ্যের বাইরে। সাংবাদিকদের এমন কথার পর মন্ত্রী বলেন, আমি জেনেছি আজ পর্যন্ত মেডিকেল সেন্টারে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি। আমি আজই এক লাখ টাকা জমা করে দেব। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। জানি না তিনি অবহিত কিনা।

বিকেলে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মেডিকেল সেন্টারে রমা চৌধুরীর চিকিৎসার বিল হিসেবে দুই লাখ টাকা জমা করে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!