- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

উদ্বোধন হয়েছে, তবে চালু হয়নি লোহাগাড়ার ট্রমা সেন্টার

0cacf915c4f53c6fee1da4b4126e3ebb-27

প্রথম আলো : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট। অথচ হাসপাতালের জন্য এখনো কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও। এসব কারণে এখনো চালু করা যায়নি ২০ শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতাল।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গণপূর্ত অধিদপ্তর ২০০৯ সালে হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হানিফ জানান, ২০০৭ সালের জুন মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিনতলার হাসপাতাল ভবনে আছে ২০টি শয্যা। তার মধ্যে বিশেষ কেবিন দুটি, সাধারণ শয্যা ১৮টি। হাসপাতাল ভবনে আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে। আছে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও।

মো. হানিফ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। এ কারণে মহাসড়কটিতে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত লোকজন যাতে সময়মতো চিকিৎসাসেবা পান, সে জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মাঝামাঝি স্থানে ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, নির্ধারিত জনবল ও যন্ত্রপাতি না থাকায় হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে সপ্তাহে তিন দিন সীমিত আকারে বহির্বিভাগ চালু রাখা হয়েছে। তিনি জানান, ট্রমা সেন্টারের ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স, ৩৪ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ রয়েছে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সপ্তাহে তিন দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি ট্রমা সেন্টারে আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। প্রতিদিন ২০-৩০ জন রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কোনো জটিল সমস্যা নিয়ে রোগী এলে তাকে চট্টগ্রাম নগরে পাঠিয়ে দেন।

গত বুধবার ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা আবদুর শুক্কুর রশিদি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় পায়ে ব্যথা পেয়েছিলাম। আবারও হঠাৎ পায়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় এখানে এসেছি। কিন্তু এখানে নাকি অপারেশন করা যাবে না।’

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যসচিব ট্রমা সেন্টারটি পরিদর্শন করেছেন। তবে কবে নাগাদ এটি চালু হবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা নদভী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রয়োজনের তুলনায় সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ট্রমা সেন্টারটি চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে।