- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

উখিয়ার উপকুল জুড়ে ডাকাত আতংক : রাত জেগে পাহারা

01-4
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : কক্সবাজার দক্ষিণ কলাতলী থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ৭৪ কিলোমিটার দুর্গম উপকুল এলাকাজুড়ে ডাকাত আতংকে পালাক্রমে পাহারা দিয়ে রাত কাটাচ্ছে মানুষ। সন্ধার পর থেকে বিভিন্ন পর্যটক স্পট সহ গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে। জেলার কয়েকটি উপজেলায় উপকুল জুড়ে গড়ে ওঠা ডাকাত স্পট নামে পরিচিত দরিয়া নগর, হিমছড়ি, মোঃশফিরবিল, ইমামের ডেইল, চেপটখালী, মনখালী, হোয়াইক্ষ্যাং ঢালা, টেকনাফ, শীলখালী, বড় ডেইল এই স্পট গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার কম থাকার নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছেন উপকুলের মানুষ।
গত ২২ জানুয়ারী মোঃ শফিরবিলে আমির হামজা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ম শ্রেণী ছাত্রী জুলেখা খাতুন(১৪) ও ৪র্থ শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্র মোঃ ইদ্রিচ(১১), একই পরিবারের দুইজনকে গুলি করে আহত করছেন ডাকাতের দল এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়দের। ঐ ঘটনা নিয়ে পুরো উপকুলজুড়ে ভয়ে নির্ঘুম রাত যাপন করছেন চেপটখালী, মোঃ শফিরবিলসহ কয়েকটি এলাকার সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, শতশত মানুষ রাস্তায় ও বিলে আগুন জালিয়ে রাত যাপন করছেন ডাকাতের আতংক নিয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের পাহারা কোন কাজে আসছে না। প্রত্যক সপ্তাহে টিকই ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছে ডাকাতেরা। তাদের আস্তানা পাহাড়ে গড়ে ওঠেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তারা প্রতিবেদকে আরো জানান, ডাকাতেরা বিভিন্ন ধরণের কৌশল করে এলাকার ধনীদের টাগের্ট করে ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছে। যদি ডাকাতদের আস্তানা খুজে বের করে তাদের আটকপুর্বক আইনের আওতায় আনা না হয়,তাহলে উপকুলের মানুষ জানমালসহ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বেন।
উপকুলের হিমছড়ি পুলিশ পাড়ি, ইনানী পুলিশ পাড়ি, টেকনাফ বাহারছড়া পাড়ি, হুয়াইক্ষ্যাং পুলিশ পাড়ি থাকার সত্তে ও ডাকাতেরা কৌশলে ডাকাতি প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আগীতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের চলাফেরা নিরাপত্তা হীন হয়ে পড়বেন। উপকুল এলাকায় নিয়মিত টহল পুলিশ বাড়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন জনপ্রতিনিধিরা।
এই বিষয়ে জানতে জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়াম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমার স্বেচ্ছাসেবকরা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সজাগ রয়েছে।
উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আবুল খায়ের জানান, গত মঙ্গলবার একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি।তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে অভিযান শুরু করব। তবে গ্রামের সচেতন মানুষের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে।