- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ইহা একটি অতীত বর্তমান ঘটনা

v

ফিরোজা সামাদ : বরগুনার অালোচিত খুনের মূল অাসামীরা মনে হয় বেশ কয়েক বছর লুকিয়ে থাকবে বর্ডার ক্রস করে ওপারে। ততোদিনে অামরা হয়ত ভুলে যাবো এই নির্মম খুন হওয়ার কথা। খুনীরা খেয়ে দেয়ে হৃষ্টপুষ্ট পরিপূর্ণ যুবকে পরিণত হয়ে একদিন ফিরে এসে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই দুর্গন্ধময় সমাজের একজন হেনোতেনো হবে। অামরাও নিহতের বিধবা স্ত্রীকে অার ঘরে বসিয়ে না রেখে অন্যত্র পাত্রস্থ করবো। এটাই হবে ঠিক সিদ্ধান্ত। তারও সংসার হবে, স্বামী সন্তান হবে । এক সময় নিহত স্বামীর শোক ভুলতে বাধ্য হবে স্বামী সন্তানের মুখপানে চেয়ে। সবাই ভুলে যাবে। কারণ, খুনিদের ফাইল তখন ধূলার নীচে পরে থাকবে। শুধু অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বাবা মায়ের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকবে। এই ঘটনা তখন কেবলি কাহিনী হয়ে যাবে।

পাঠক, অাপনারা মনে করে দেখুন! নব্বই দশকে অামতলী উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে এমন একটি খুন সংঘটিত হয়েছিলো। নিহত যুবকের দেহটিকে সতেরটি খণ্ড বিখণ্ড করে খালের চরে পুতে রাখা হয়েছিলো। সেই নিহত যুবক ও খুনিরা ছিলো ঘনিষ্ট বন্ধু। খুনিরা ছিলো শক্তিশালী দলের পক্ষের। রাতারাতি পাড় হয়ে যায় কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ওপারে । তারপর সে যখন পরিপূর্ণ সমৃদ্ধ যুবক তখন ফিরে অাসলেও অদৃশ্য হাতের ঈশারায় মৃত্যূদণ্ড থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সে নামী দামী নেতা। সেখানেও খুনটা হয়েছিলো একটি সুন্দরী নিরীহ মেয়েকে বখাটে ছেলের লোলুপ ভালোবাসার কাহিনীকে কেন্দ্র করে। অাজ সবাই সেই খুনিকে কুর্নিশ করে। দোর্দণ্ড প্রতাপ তার। জানা যায় মেয়েটিরও বিয়ে হয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে সুন্দর সংসার। নিহতের বাবা মায়ের বুকে এখনো শুধু অার্তনাদ ও হাহাকার!

নিহত ছেলেটির বাড়ি ছিলো বোধহয় বরগুনা সদরের হেউলিবুনিয়া অথবা কাছাকাছি অামতলী গ্রামে। ছেলেটি অামতলী কলেজে পড়তো অার মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়াতো,এই ছিলো তার সবচেয়ে বড়ো অপরাধ।

লেখক : কবি, সাহিত্যিক ও গীতিকার।