- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ইসলামিয়া কলেজ অধ্যক্ষকে নিয়ে জটিলতা

CTG-Islamia-College

নিউজ ডেক্স : নগরীর ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় আন্দোলন করছেন মেয়াদোত্তীর্ণ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে। অধ্যক্ষ মো. রেজাউল কবির কলেজের প্রশাসনিক নিয়ম না মেনে প্রতিনিয়ত তার স্বেচ্ছাচারিতায় কলেজটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন কলেজের শিক্ষকরা।

গতকাল সোমবারও ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বেলা ১২টার দিকে শুরু হয়ে নিউ মার্কেট মোড় প্রদক্ষিণ করে সদরঘাট থানা হয়ে পুনরায় কলেজে যায় বিক্ষোভ মিছিলটি। কলেজ প্রাঙ্গণে ফিরে এসে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বক্তারা ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল কবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও তার অপসারণের দাবি উপস’াপন করেন। সমাবেশে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদ উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কলেজের মেয়াদোত্তীর্ণ অধ্যক্ষ নিজের খেয়াল-খুশি অনুযায়ী কলেজ বন্ধের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কেননা, সামনে দ্বাদশ নির্বাচনী পরীক্ষা, ডিগ্রি (পাস) ইনকোর্স পরীক্ষা, ডিগ্রি (পাস) তৃতীয় বর্ষের ফরম পূরণ ও অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির কার্যক্রম চলছে। ফলে কলেজ বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। আমরা শিক্ষক, তাই শিক্ষার্থীদের ও কলেজের স্বার্থ আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। তাই আমরা তার একক সিদ্ধান্তে কলেজ বন্ধ রাখিনি। অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এ কলেজটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাই আমরা এ সমাবেশের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, অধ্যক্ষের একক ইচ্ছায় এ কলেজ পরিচালিত হতে পারে না। একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রতি উনার কোনো দায়িত্ব না থাকতে পারে, কিন’ আমাদের আছে।’

তিনি সুপ্রভাত বাংলাদেশকে জানান, আমরা এই ৬৫ বছর বয়সী মেয়াদোত্তীর্ণ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধাচরণ করছি। কেননা তিনি এ কলেজের ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে না ভেবে নিজের ইচ্ছাকে প্রধান্য দিয়ে কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইছেন। তিনি কলেজের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার ইচ্ছে অনুযায়ী অস’ায়ী শিক্ষকদেরকে অনৈতিকভাবে বিভাগীয় প্রধানের পদে বসিয়েছেন। এ বিষয়ে কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি এম এ লতিফ এমপির সাথে কথা বলেছিলাম। কিন’ আমাদের সমস্যাটিকে আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেননি। তাই আমরা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কাছে এ কলেজের ও আমাদের শিক্ষার্থীদের দিক বিবেচনা করে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।’ -সুপ্রভাত