এলনিউজ২৪ডটকম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামীর সুন্দর সুশৃঙ্খল বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখে পরাজিত শক্তি ইসকনের মাধ্যমে এই দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলাচ্ছে। তাই ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। ইসকনের মাধ্যমে পাতানো এই ফাঁদে পা না দিয়ে ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ফারেঙ্গা এলাকায় নিহত আলিফের কবর জেয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লগ্নের পর থেকে বিভিন্ন দলের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, জামিন না মঞ্জুর, রিমান্ড, জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে তারাতো কেউ আইনজীবী হত্যা করেনি। তাদের উগ্র হিন্দুত্ববাদী কার্যক্রমের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হউক। এই সময় তিনি নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিবারের পাশে আজীবন থাকার ঘোষণা দেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
এই সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি এই ইসকনের মাধ্যমে পাতানো ফাঁদে আমরা কখনো পা দেবোনা। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্দেশে গত তিনদিন ধরে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া তথা চট্টগ্রামের মানুষ চরম ধৈর্য্য ধারণ করে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে যাচ্ছে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম, জাফর সাদেক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ বদরুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী জাকেরিয়া, ড. হেলাল উদ্দিন মোহাম্মদ নোমান, উপজেলা শাখার আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, সেক্রেটারী সরকারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা আ ন ম নোমান, চুনতি ইউনিয়ন শাখার আমীর মাওলানা আবু ছাদেক, লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক কাজী নুরুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি রফিক দিদারসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, নিহত আলিফের পিতা জামাল উদ্দিন ও এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগণ।