- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

আধুনগরে ডলুখাল গিলে খেয়েছে চলাচলের রাস্তা

29

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর আকবর পাড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া ডলুখাল গিলে খেয়েছে চলাচলের রাস্তা। টানা বর্ষণ ও বালু খেকোরা খালের গভীরতা বৃদ্ধি করায় উজান থেকে নেমে পানির ঢলে চলাচলের রাস্তা বিলীন হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এখন বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার আশংকায় দিনাতিপাত করছে ওই এলাকার কয়েক’শ পরিবার। ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিবার বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা এখনো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

জানা যায়, এ সড়ক দিয়ে হাজারো লোকের চলাচল ছিল। সড়ক ভেঙ্গে খালের সাথে বিলীন হয়ে যাওয়ায় হাজী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী সামশুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আধুনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মছিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।

স্থানীয় ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে ওই এলাকায় ডলু খালের ভাঙ্গন শুরু হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় কোন মতে বড় ধরণের ভাঙ্গন রোধ করতে পারি। কিন্তু এই বছর বর্ষার শুরুতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়াতে খালে পানির তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খালের পাড় ভেঙ্গে আমাদের ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করে। এছাড়া এলাকায় অনেকের মাটির ঘর যে কোন সময় ধসে পড়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি বরাবরের দু’বার ভাঙ্গন রোধের জন্য আবেদন করেছি। কোন ব্যবস্থা গৃহিত করা হয়নি। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হুমকিতে থাকা নুরুচ্ছফা বলেন, গতো ২ বছর যাবত খালের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গা রোধ কেউ কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

হাজী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক সুলীল চৌধুরী বলেন, আধুনগর আকবর পাড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া ডলুখাল সংলগ্ন চলাচলের রাস্তা বিলীন হওয়ায় দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অতিশীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়া-লেখায় ব্যাঘাত ঘটার আশংকা রয়েছে।

এদিকে ডলুখালের ভাঙ্গনে চলাচলরে রাস্তা বিলীন হওয়ায় পরিদর্শনে যান হাজী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী সামশুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতো বছর খালের ভাঙ্গন রোধে মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে না আসলে ভাঙ্গন রোধ মোটেও সম্ভব নয়।

আধুনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব মিয়া বলেন, খাল ভাঙ্গা প্রতিরোধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ। এ কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে কোন বরাদ্ধ নেই। তারপরও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে ভাঙ্গন রোধে কাজ করার জন্য স্থানীয়দের বলেছিলাম, এতে কেউ সাড়া দেননি।