- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করলেন প্রধানমন্ত্রী

s_29797

নিউজ ডেক্স : বিএনপিকে ভোটে আনতে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ বা দেশে আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আগামী নির্বাচন হতে পারে। আমরা এমন কোনো দৈন্যদশায় পড়িনি যে, এখন নির্বাচন দিতে হবে।’ গত নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল– সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এবার আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে। এবার আর তারা ভুল করবে না।’

সাম্প্রতিক কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে জানাতে গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনা নিয়ে যদি আপনাদের এতই আগ্রহ থাকে তাহলে তেলের টিন, ঘিয়ের টিন নিয়ে সেখানে যান। আমি অপাত্রে ঘি ঢালি না।’ আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ হোক কাল হোক একদিন না একদিন তাকে আসতেই হবে এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।

কয়েকটি মহলে আগাম নির্বাচনের আলোচনার প্রেক্ষাপটে গত ২৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নয়, সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে গণভবনের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে আরও সময় দরকার। আমরা গেলে উন্নয়ন কাজের কী অবস্থা হয়…।’ তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর গত প্রায় নয় বছরে দেশের যে উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, ‘এত অল্প সময়ে’ এতোটা উন্নয়ন আর কেউ করে দিতে পারেনি। দলের গত জাতীয় সম্মেলনে মতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন হবে– সেটাই তিনি চান। সেই প্রসঙ্গ টেনে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত জানতে চান, নির্বাচনে সব দলকে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কি না বা আলোচনার কোনো প্রস্তাব দেয়া হবে কি না।

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিনেত্রীর দিকে ইংগিত করে বলেন, ‘তাকে বরণ ডালা পাঠাতে হবে?’ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে টানটান উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে গণভবনে দাওয়াত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে আলোচনা? কিসের প্রস্তাব! একবার প্রস্তাব দিয়ে যে ঝাড়িটা খেলাম, তাকে আর প্রস্তাব দেয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর বিএনপি নেত্রীকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সে কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আর যাই হোক আমি প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে যখন মারা গেলো, আমি তার বাড়িতে গেলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকেতে দেয়া হলো না!

এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ ই মামুন সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করা বিএনপিকে আগামী বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আনতে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার কোনো উদ্যোগ সরকারপ্রধান নেবেন কি না। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলব, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে আসা প্রত্যেকটা দলেরই কর্তব্য। যে দল নিজের দলেও গণতন্ত্র চর্চা করে না, তারা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা নিজ নিজ দলের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের করার কিছু নাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের যদি এতই দুঃখ থাকে যে, ওদিকে যান… তেলের টিন নিয়ে চলে যান, আর কী করবেন? আমি ওই রকম অপাত্রে ঘি ঢালি না।’

খালেদার ‘দুর্নীতির খবর’ নেই কেন ?

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের ‘সৌদি আরবে সম্পদ থাকার খবর’ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এড়িয়ে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে শুধু দুটি সংবাদপত্র ও দুটি টেলিভিশনে ওই ‘খবর’ পাওয়ার তথ্য জানিয়ে তিনি সংবাদটি চেপে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য সাংবাদিকদের লেনদেনের কোনো স্বার্থ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার হলে তো হুমড়ি খেয়ে পড়তেন।’

বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে সম্পদ থাকার তথ্য বাংলাদেশের গুটিকয়েক সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি আসে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যের পরপরই বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার সম্পদের তথ্যের বিষয়ে জানতে চান।

এর জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকটা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘সৌদি আরবে যে বিশাল শপিং মল পাওয়া গেল; এটা তো আমরা বলিনি। এই খবর দেয়ার কোনো আগ্রহ দেখলাম না। আমরা তন্ন তন্ন করে দেখেছি। শুধু দুটি চ্যানেল ও দুটি পত্রিকা শুধু নিউজটা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা ওই খবরটি না ছাপানোর কারণ জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এত দুর্বলতা কিসের জন্য? বিনা পয়সায় শপিং করার কার্ড পেয়েছেন? কেন? আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি বলে? আর, তারা (খালেদা জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে।’ শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনাদের প্রশ্নের জবাব কেন দেব?’

২০০৯ সালে মতায় যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই অনেক বেসরকারি বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে নাকি পত্রিকা চলেই না। আমি তো পত্রিকা পড়ে দেশ চালাই না। দেশকে ভালোবেসে দেশ চালাই। আমি বাবার কাছ থেকে শিখেছি।’

একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল বাবু প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে গিয়ে তার চ্যানেলের অনেক সাহসিকতাপূর্ণ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করলে প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ‘অনেকেই অনেক েতে্র সাহস দেখান। অনেক সময়ে আবার তারেক রহমানের ধমক খেয়ে হাত–পা গুটিয়ে বসে থাকেন।’

‘ক্ষমা তো উনার চাওয়া উচিৎ’ :

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে গিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া বলেন, সরকার জিয়া পরিবারের সঙ্গে বৈরী আচরণ করলেও তিনি শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমা করে দিয়েছেন’, প্রতিহিংসামূলক কিছুই তিনি করবেন না। বিএনপিনেত্রীর ওই বক্তব্য নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি কিসের ক্ষমা করলেন সেটা হল প্রশ্ন। ২১ অগাস্ট আমি যে বেঁচে গিয়েছি সেই কথা বলছেন? ক্ষমা করেছেন না চাইছেন, সেটা স্পষ্ট না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো অপরাধ করেছি নাকি যে আমাকে মা করতে হবে? বরং তার উচিৎ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। বরং খালেদা জিয়ার সরকারই তার বিরুদ্ধে এক ডজনের মতো মামলা দিয়েছিল।

খালেদার বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েই হয়েছিল– সে প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারা। সবাই উনার লোক। নয়জনকে টপকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল মঈন ইউ আহমেদকে, বিশ্ব ব্যাংক থেকে ফখরুদ্দীনকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হয়। আর ইয়াজউদ্দিনতো ওনার ইয়েস উদ্দিন। সবগুলো ওই আমলের মামলা।’

বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন নেই

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবার বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে।’ তিনি বলেছেন, এবার আর তারা (বিএনপি) ভুল করবে না। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জ ই মামুনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ জবাব দেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কট: কম্বোডিয়াকে পাশে চায় বাংলাদেশ

কম্বোডিয়া সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করেছি। উনি বলেছেন যে, আসিয়ান দেশগুলো যেন সমর্থন দেয় সে ব্যাপারে উনি কথা বলবেন। আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলো রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে ‘চাপ দিচ্ছে’ বলে জানান তিনি। কম্বোডিয়া সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রধামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে কি না?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা সমর্থন পাচ্ছি। কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছে, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন– আসিয়ানে এ বিষয়ে কথা বলবেন। মিয়ানমারকে তারা চাপ দিচ্ছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে না বললেও চাপ দেয়া হচ্ছে। সবাই চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফিরে যাক। আমরাও তাই প্রত্যাশা করি। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমি চাই মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিবেশীভাব বজায় থাকুক। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। অবশ্যই ফেরত নিতে হবে। তিনি জানান, তার এ সফরে নমপেনের একটি সড়ক বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছে। আর ঢাকাতেও একটি সড়কের নাম সেদেশের রাজার নরদোম সিহানুকের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

শত ফুল ফুটতে দিন, এটা রাজনৈতিক অধিকার :

সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সমকাল সম্পাদক গোলাম সরওয়ার প্রশ্ন রাখেন– দেশে এখন নির্বাচনের মৃদুমন্দ হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দিচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতফুল ফুটতে দিন, আওয়ামী লীগ একটা বড় রাজনৈতিক দল। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। সময় মতো আমরা যেটা ভালো দেখবো, সেটাই বেছে নেবো। নির্বাচনী হাওয়া বয়ে যাওয়া ভালো বিষয়। গণতান্ত্রিক বিষয়টাই এতে ফুটে উঠেছে।

মাঠ পর্যায় থেকে প্রার্থীদের বিষয়ে জরিপের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা আছে তা আমাদের খেয়াল রাখতে হয়। তবে যার কোনো দুর্বলতা দেখি, তাকে সতর্ক করি। একটা কথা মনে রাখতে হবে–দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। এটা অব্যাহত রাখলেই মানুষই আপনাকে বেছে নেবে। তবে কেউ রেড জোনে নেই। মানুষই ভেবে দেখবে তারা আওয়ামী লীগকে চায় কি না।

কম্বোডিয়া সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলনে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার,দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাইমুল আহসান খান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ৭১ টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল হক বাবু, এটিএন বাংলার বার্তা প্রধান জ ই মামুনসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। -আজাদী